নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর রায়পুরায় সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কমিটি দেওয়া-নেওয়ার জেরে ১টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৫জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের শহীদ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শহীদ মিয়া জানান, সায়দাবাদ ঘাটে সিএনজি স্ট্যান্ডের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে শাহারাজ-নজরুল সমর্থক ও হানিফ মাস্টার- মজনু’র সমর্থকদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বেশকিছুদিন আগে নজরুল-শাহারাজ ও হানিফ মাস্টার সমর্থকের লোকজনের মাঝে ঝগড়া হয়। এতে নজরুল ও শাহারাজ সমর্থিত একজন আহত হলে তারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই নজরুল-শাহরাজের লোকজন প্রতিনিয়ত উসকানি মূলক কথাবার্তা ও হুমকি দিয়ে আসছে হানিফ মাস্টারের লোকজনদের। পরে সোমবার রাতে নজরুল, শাহরাজ, নূর আহাম্মদ সহ ২০-২৫ জন লোকজন মিলে হানিফ মাস্টারের সমর্থক শহীদ মিয়ার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা ও ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন তারা।
শহীদ মিয়া আরো জানান, তার ঘরে থাকা ৬লাখ টাকা ভাংচুরকারীরা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নজরুল ও শাহারাজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নজরুল জানান, এসব ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। গত (৩জুলাই) সন্ধায় হানিফ মাষ্টার ও তার লোকেরা আমার ভাতিজা রাসেলকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। সে এখন নরসিংদী সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। উক্ত বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির কাউন্টার আরেকটি মামলা করতে এসব নাটক তৈরী করেছে। আমি এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা নাটকের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রশাসন যেন সত্যিটা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়- এ বিরোধ নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও রায়পুরা থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা (পিপিএম) একাধিকবার আলোচনা করেও কোন ফলপ্রসূ হয়নি। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি তদন্ত গোবিন্দ সরকার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।